সংঘবদ্ধ হয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দেয়া এবং নিজেদের সামষ্টিক কল্যাণকে অর্থবহ করে তোলার প্রয়াস ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে প্রাচীন কাল থেকেই লক্ষণীয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যাটো ও ওয়ারশ্- দু'টি সামরিক জোটে ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন দশক না যেতেই এই লড়াইয়ে ভাটা পড়ে । সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইকে পাশে রেখে বাণিজ্যিক শ্রেষ্ঠত্বের ও স্বার্থের লড়াই প্রবল হয়ে দেখা দেয় । গড়ে ওঠে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ব্যবসায় জোট। ব্যবসায়কে উৎসাহিত করার জন্য গড়ে ওঠে চুক্তিনির্ভর বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা। নিম্নে এরূপ কিছু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
সার্কভুক্ত দেশসমূহ নিজের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় তাকেই দক্ষিণ এশীয় অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্ষেপে SAPTA বলে। শুরুতে সার্ক SAARC ভুক্ত দেশসমূহ ছিল বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান এই সংস্থায় যোগ দেয়ায় এখন এর সদস্য সংখ্যা ৮। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় ১ম সার্ক সম্মেলনের পর থেকে দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে । ১৯৯৫ সালের মে মাসে। ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত সার্কের অষ্টম সম্মেলনে SAPTA চুক্তি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ১৯৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
সহযোগিতাকে আরও অর্থবহ করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য এলাকা South Asian Free Trade Area (SAFTA) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেনসিটিভ লিস্ট, রুলস অব অরিজিন, কারিগরি সহায়তার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং শুল্ক হ্রাসের ফলে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের রাজস্ব ক্ষতিপূরণের চূড়ান্তকরণসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনার পর সকল দেশের অনুসমর্থনের মাধ্যমে তা ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি হতে কার্যকর হয়েছে।
SAFTA চুক্তির দুটি প্রধান বিষয়ের একটি হলো সেনসিটিভ লিস্টের পণ্যের সংখ্যা কমানো এবং সেনসিটিভ লিস্টের বাইরের পণ্যের ক্ষেত্রে ট্যারিফের হার ০%-৫% এর মধ্যে নামিয়ে আনা। ভারত ৯ নভেম্বর ২০১১ থেকে তাদের সেনসিটিভ তালিকার পণ্যের সংখ্যা ৪৮০ থেকে কমিয়ে ২৫ করেছে। পাকিস্তান সেনসিটিভ তালিকা বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে ৫% শুল্কহার নির্ধারণ করেছে । প্রতিটা দেশ তাদের সেনসিটিভ তালিকায় ঘোষিত পণ্যের সংখ্যা ২০% হ্রাস করেছে। ভারত দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক বা MOU (Memorandum of Understanding) এর অধীনে বাংলাদেশকে পোশাক পণ্যে শুল্ক মুক্ত এবং কোটামুক্ত সুবিধা দিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে SAFTA-এর একটা অগ্রগতি। উল্লেখ্য ২০০৭ সালের ১৪তম সার্ক সামিটে আফগানিস্তান সাফটা চুক্তিতে নতুন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে সাফটার আওতায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৮৪.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
আঞ্চলিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সম্মিলিত প্রয়াসে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্রসমূহের সংস্থা সংক্ষেপে আসিয়ান ( Association of South East Asian Nations / ASEAN) গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি রাষ্ট্র; যথা- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রীগণ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আসিয়ান গঠনের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। এটি ব্যাংকক ঘোষণা নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ব্যাংকক ঘোষণার ভিত্তিতে ১৯৭৬ সালের • ২৪শে ফেব্রুয়ারি আসিয়ান গঠন সংক্রান্ত চূড়ান্ত দলিল তৈরি করে পাঁচটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে উক্ত দলিলে স্বাক্ষর করেন। এরপর ১৯৮৪ সালে ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে ব্রুনাই, ১৯৯৫ সালে সপ্তম সদস্য হিসেবে ভিয়েতনাম, ১৯৯৭ সালে অষ্টম ও নবম সদস্য হিসেবে মায়ানমার ও লাওস এবং পরে দশম সদস্য হিসেবে কম্বোডিয়া এতে যোগদান করে। মার্চ ২০১১তে পূর্ব তিমুর নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেয়ায় এখন এর সদস্য সংখ্যা ১১।
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথম থেকেই প্রতিষ্ঠানটি সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সমন্বয়ে অবাধ বাণিজ্য এলাকা স্থাপনের প্রয়াস চালায় এবং ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহ ASEAN Free Trad Area (AFTA) গঠন করে। এটি এখন বিশ্বের ৮নং বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল । ২০১৫ সালের মধ্যে উক্ত সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে ASEAN Economic Community / ABC গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আশা করছে যে, এতে তাদের আন্তঃবাণিজ্য ব্যাপকভাবে বাড়বে। এক দেশ থেকে বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও কারিগরি সুবিধা অন্যদেশে হস্তান্তরিত হবে। শুল্ক বাধা উঠে যাওয়ার কারণে এখানের সব দেশই উপকৃত হতে পারবে। ASEAN এর একটা বড় দিক হলো সংস্থাটি অন্য দেশ ও বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি সম্পাদন করে- যা সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। ASEAN ও চীনের চুক্তি, জাপানের সাথে চুক্তি, EU-এর সাথে চুক্তি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এতে সংস্থাটির সামর্থ্যেরই প্রমাণ মেলে ।
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে একটা উপআঞ্চলিক জোট হিসেবে সংস্থাটি আত্মপ্রকাশ করে। প্রথমে ৪টি দেশ এতে যোগ দেয় এবং দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী এর নাম দেয়া হয় BIST EC (Bangladesh, India, Srilanka and Thailand Economic Cooperation)। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সংস্থার দেশগুলোর মন্ত্রীদের একটা বিশেষ সভায় মায়ানমারকে পঞ্চম দেশ হিসেবে সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় BIMSTEC । পরবর্তী সময়ে ২০০৪ সালে নেপাল ও ভুটানকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এর নামের নতুন পূর্ণাঙ্গ রূপ নির্ধারিত হয় Bay of Bengal Initiative for Multi Sectoral, Technical and Economic Cooperation ।
বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ১০টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করে প্রতিটা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানের ভার একেকটা দেশের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। সকল দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দানকারী দেশ কী ভূমিকা রেখেছে তা পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে । ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৯ নভেম্বর ১৯৯৮
এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সহযোগিতার ৬টি খাত চিহ্নিত করে দায়িত্ব ভাগ করা হয়:
২০০৫ সালের ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সহযোগিতার আরও নতুন ৭টি খাত চিহ্নিত করে তার নেতৃত্বদানের ভার পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন দেশের ওপর অর্পণ করা হয়। সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ হলো-
এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (ADB) ২০০৫ সাল থেকে বিমসটেকের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ADB দেশগুলোর মধ্যে পরিবহণ, অবকাঠামো ও কৌশলগত সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে BTILS (BIMSTEC Transport Infrastructure & Logistic Study) প্রজেক্টের আওতায় সমীক্ষার কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিকট পাঠিয়েছে। যা কার্যকর হলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উপকৃত হবে । এ ছাড়াও বিমসটেকভুক্ত দেশসমূহ নিজেদের মধ্যে একটা মুক্ত বাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
দীর্ঘ আলোচনা, চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও উন্নয়নের ধারার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যকে সকলের জন্য কল্যাণকর করতে যেই প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়েছে তার নাম বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা WTO I দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার উত্তরণ এবং বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে সুসংহত করার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি কিউবার রাজধানী হাভানায় ২৩টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সম্মেলনে General Agreement on Tariff's & Trade / GATT প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারই নবতর সংস্করণ WTO । ১৯৯৪ সালে মরক্কোর রাজধানী মারাকাশে GATT এর যে সম্মেলন হয় তাতে ১২৮টি দেশ GATT চুক্তি অনুমোদন করে এবং সেখানেই WTO এর মতো সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় । যার আলোকে ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে WTO কাজ শুরু করে । এর প্রধান অফিস বা সচিবালয় সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কার্যাবলি নিম্নরূপ :
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অর্থনৈতিক পরাশক্তিসমূহের সক্রিয় অংশগ্রহণে শুরু থেকেই একটা শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, ইউএনডিপি, আইটিসি, আংকটাডসহ বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ব বাণিজ্য উদারীকরণ এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহ (Least Developed Countries / LDC) WTO এর ফ্রেমের আওতায় থেকেই ধনিক দেশগুলোর সাথে দরকষাকষির মাধ্যমে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের জন্য সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । যার ফলশ্রুতিতে দেশগুলোর মধ্যে যেমনি সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটছে, একে অপরের সমস্যাগুলো বুঝতে পারছে তেমনি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা দূরীকরণে সম্মিলিত প্রয়াস নিতে পারছে ।
বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত ডব্লিউটিও সেল WTO সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে । এ সেল স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সমন্বিত করে WTO এর সম্মেলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় তা দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের
পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার জন্য এই সেল নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যার ফলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এই সুবিধা লাভ করেছে । অন্যান্য দেশেও অনেকাংশে এ সুবিধা অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন WTO এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও কার্যক্রমের সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পর্কযুক্ত ।
ইউরোপীয়ান কমিউনিটি (EC) ১৯৯২ সালে তাদের মধ্যকার অর্থনেতিক বন্ধনকে মজবুত করে নিজেদেরকে একটা অর্থনেতিক পরাশক্তি হিসেবে গড়ার অভিপ্রায়ে ইউরোপীয়ান ইকোনোমিক কমিউনিটি (EEC) গঠন করে । অনেকে এই নতুন বন্ধন কর্মসূচিকে নতুন ইউরোপ ও সন্দেহের বিষয় হিসেবে গণ্য করেন। বিশেষত বাইরের জগতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই নতুন জোটের অভ্যুদয়কে নিজেদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে শুরু করে । এরূপ জোট গঠনের ফলে দ্রুত যে সকল সুবিধা অর্জিত হয় তা হলো-
১৯৯২ সালে EC ভুক্ত ১২টি দেশ সমন্বয়ে EEC গড়ে ওঠে। দেশগুলো ছিল ১. বেলজিয়াম ২. ডেনমার্ক ৩, ফ্রান্স ৪. জার্মানী ৫. গ্রীস ৬. আয়ারল্যান্ড ৭. ইতালি ৮. লুক্সেমাবর্গ ৯. নেদারল্যান্ড ১০. পর্তুগাল ১১. স্পেন ও ১২. যুক্তরাজ্য । ১৯৯৫ সালে EEC সম্প্রসারিত হয় এবং তখন আরও ৩টি দেশকে সদস্যপদ দেয়া হয় । নতুন সদস্য দেশগুলো হলোঃ ১. অস্ট্রিয়া ২. ফিনল্যান্ড ও ৩. সুইডেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ১০টা দেশকে EU (পরবর্তীতে গৃহীত নাম)এর পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। দেশগুলো হলো ১. সাইপ্রাস ২. গ্রীস ৩. এস্তোনিয়া ৪. হাঙ্গেরি ৫. লাটভিয়া ৬. লিথুনিয়া ৭. মাল্টা ৮. পোল্যান্ড ৯. স্লোভাকিয়া ও ১০. স্লোভেনিয়া । পরে আরও তিনটি দেশ; রুমানিয়া, চেক রিপাবলিক ও ক্রোয়োশিয়া যোগ দেয়। অর্থাৎ EU এর বর্তমান সদস্য দেশের সংখ্যা ২৮ । অবশ্য ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্য EU থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা কার্যকর হলে এর সদস্য সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭ ।